আইফোন কেনার আগে কি কি যাচাই করতে হবে? নতুন বা পুরাতন

আইফোন কেনার আগে যাচাই

আমাদের অনেকেরই আইফোন ব্যবহারের অনেক শখ হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও একজন আইফোন প্রেমি। কিন্তু অনেক উচ্চ বাজেটের কারণে আমাদের অনেকেরই নতুন আইফোন কেনা হয়ে ওঠেনা। তাই পুরোনো আইফোন কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনই ভরসা। আজকে আমাদের এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব, একটা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে আপনাকে কি কি যাচাই করতে হবে সেই বিষয়ে।

 

নতুন ফোন কেনার আগে আসলে যাচাই করার মত তেমন কোনো জিনিস থাকে না, আপনি যদি ব্র্যান্ডেড শপ থেকে অরিজিনাল আইফোন কিনেন তাহলে সেখানে যাচাই-বাছাই করার কিংবা অথেন্টিসিটি চেক করার কিছুই থাকে না। তাই আমরা মূলত আমাদের এই কনটেন্টে ফোকাস করব পুরাতন আইফোন কেনার আগে আমাদের কি করা উচিত।

 

পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি যাচাই করতে হবে

 

মডেল

 

আই ফোনের মডেল খুবই ক্রুশিয়াল একটা ব্যাপার। কারণ এই মডেলের ভিত্তিতে আইফোনের বিভিন্ন ফিচার চেঞ্জ হতে থাকে। আপনি যদি এখন একটা আইফোন ফাইভ কিনেন, তাহলে সেটা কোনভাবেই একটা আইফোন টেন কিংবা ইলেভেনের সাথে টক্কর দিতে পারবে না। তাই ফোনের মডেল টা খুবই জরুরী।

 

সব সময় চেষ্টা করা উচিত যেন গত ৪-৫ বছরের মধ্যে রিলিজ হওয়া ফোনের মডেল কেনা যায়। তাহলে আপনি চলমান মোটামুটি সব ফিচারই ব্যবহার করতে পারবেন। খুব বেশি পুরনো মডেলের ফোন কিনলে, আপনি বর্তমান ফিচারগুলো সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেকে আপডেট রাখতে পারবেন না। বর্তমান সময়ের জন্য আমি সাজেস্ট করবো আইফোন এইট এবং এর পরবর্তী সময়ের রিলিজ হওয়া যেকোনো একটা ফোন কেনার জন্য।

 

এর আগের ফোনগুলো যদি আপনি কিনেন, তাহলে খুব বেশি পুরনো একটা ছাপ সেটার মধ্যে থাকবে। তাই অবশ্যই আপনার উচিত লেটেস্ট কোন মডেলের আইফোন খুঁজে বের করা।

 

ফোনের কন্ডিশন

 

ফোনের কন্ডিশন খুবই জরুরি একটা ব্যাপার।আপনি যখন একটা ফোন কিনতে চান তখন এই ফোনটার বডি এবং অন্যান্য পার্ক গুলো কি কন্ডিশনে আছে সেইটা এই ফোনের দাম নির্ধারণ করতে অনেক সাহায্য করে। এবং একই সাথে এটা বায়িং ডিসিশন নিতে ও অনেক সাহায্য করে।

 

কেউই খুব বেশি পুরনো কন্ডিশনের ফোন কিনতে চাইবে না। ফোনের কন্ডিশন যত বেশি পুরনো হবে সেটার দাম তত কমে যাবে। তাই আপনি যদি পুরনো কন্ডিশনের কোন ফোন কিনেন তাহলে সেটার দাম ভালভাবে যাচাই বাছাই করে নেবেন।

 

টিপসঃ হার্ডডিস্ক, এসএসডি অথবা মেমোরি কার্ড থেকে যদি ভুলবশত কোন ডাটা হারিয়ে যায়, তাহলে চিন্তার কিছু নেই, Data Recovery Station যেকোনো ডিজিটাল স্টোরেজ থেকে, যেকোনো ডাটা সফলভাবে রিকভার করতে সক্ষম।

 

চুরির ফোন কি না

 

বর্তমান সময়ে বাজারের চুরির ফোন কিংবা চুরি করা ফোনের পরিমাণ খুবই বেশি। নৈতিকভাবে একটা চুরি করা ফোন ব্যবহার করা আমরা কোনভাবেই সমর্থন করিনা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকের না জেনেও চুরি করা একটা ফোন কিনে ইউজ করতেছেন। যা পরবর্তী সময়ে আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য ফোন কেনার আগে আপনাকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।

 

বিশেষ করে পুরনো ফোন কেনার আগে আপনাকে অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। তবে ফোন কিনার আগে এমন কিছু সিস্টেম রয়েছে যা অনুসরণ করে আপনি বুঝতে পারবেন এ ফোনটা আসলে চুরির নাকি চুরির নয়। EMEI নাম্বার ব্যবহার করে আপনার ফোনের অথেন্টিসিটি এবং সেটা চুরির কিনা এটা বের করতে পারবেন।

 

ফোনের ব্যাটারি

 

আইফোন যখন নতুন অবস্থায় থাকে তখন তার ব্যাটারির কন্ডিশন থাকে ১০০%, দিনদিন ব্যবহারের ফলে ব্যাটারির কন্ডিশন কিংবা ব্যাটারি স্ট্যাটাস কমতে থাকে। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যত বেশি সম্ভব একশর কাছাকাছি ব্যাটারি স্ট্যাটাস সম্পন্ন আইফোন কিনতে। কোনভাবেই আপনার ৮০% এর নিচে ব্যাটারি পারসেন্টেজ ওয়ালা ফোন কেনা উচিত নয়।

 

Read More: স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট হবার কারণ ও প্রতিকার

 

বাহ্যিক ড্যামেজ

 

ফোনের বাইরের বডি কন্ডিশন কেমন সেটা যথেষ্ট বিবেচনার একটা বিষয়। কারণ এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন ফোনটা কতটা যত্নের সহিত ব্যবহার করা হয়েছে। এবং যদি ফোনটা যথেষ্ট যত্নের সহিত ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে তার হার্ডওয়ার এবং ভিতরের পার্টগুলো যথেষ্ট ভালো থাকার কথা।

 

ক্যামেরা কন্ডিশন

 

আইফোন এর অন্যতম বড় একটা ফিচার হচ্ছে তাই ক্যামেরা। তাই ফোন করার আগে সবাই ক্যামেরাটা ভালো ভাবে চেক করে এবং এটা করা উচিত। অনেকেই বলে থাকেন ক্যামেরার কোয়ালিটি দেখলেই বুঝা যায় কোনটা অরিজিনাল এবং কোনটা নকল।

 

তাই আপনার ও উচিত, ফোন কেনার আগে ক্যামেরাটা ভালো ভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া। ক্যামেরার কন্ডিশনের উপর ডিপেন্ড করে আপনি একটা ডিসিশনে যেতে পারবেন যে আপনি ফোনটা কিনবেন কি কিনবেন না।

 

দাম

 

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের দাম খুবই কনফিউজিং হয়ে থাকে । আপনি একেক জায়গায় দেখবেন একেক রকমের নাম এবং দামে অনেক পার্থক্য। তাই এর সঠিক দাম নির্ধারণ করাটা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। এটা তখনই করা সম্ভব হবে যখন আপনি অনেকগুলো ফোন যাচাই বাছাই করবেন এবং একটার সাথে আরেকটার দামের কম্পেয়ার করবেন।

 

হার্ডওয়ার চেকিং

 

ফোনের বডি কন্ডিশন, হেডফোন জ্যাক, চার্জিং পোর্ট এসব হার্ডওয়ার অপশন গুলো ভালোভাবে চেক করে নিবেন। না হলে পরবর্তীতে ঝামেলায় পরতে হতে পারে।এই ধরনের কোন হার্ডওয়ারে সমস্যা থাকলে সেই ফোন ক্রয় না করাটাই বেটার। কারন আইফোন সার্ভিসিং অনেক খরচসাপেক্ষ একটা ব্যাপার।

 

নতুন আইফোন কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

 

নতুন আইফোন কেনার আগে আপনাকে যে বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে বুঝতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট ফিচারগুলো। ইম্পর্টেন্ট ফিচার বলতে এখানে আমি র্যাম, ক্যামেরার রেজুলেশন এবং ফোনের মডেল কে বুঝাচ্ছে।

 

আপনি যদি লেটেস্ট মডেলের আইফোন কিনতে যান তাহলে আপনাকে অনেক বড় একটা বাজেট রাখতে হবে। আবার আপনি যদি চান পুরোনো মডেলের কোন আইফোন কেনার জন্য তাহলে সেটা হয়তো ব্র্যান্ড নিউ অবস্থায় আপনি মার্কেটের না ও পেতে পারেন। এই অবস্থায় নতুন আইফোন কিনতে চাইলে মোটামুটি লেটেস্ট ভার্সনই আপনাকে কিনতে হবে।

 

ধন্যবাদ, এই গাইড ফলো করে আপনি খুব সহজেই একটি ভালো মানের আইফোন কিনতে পারবেন, কম বাজেটের মধ্যে।

 

Read More: স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেছে? জেনে নিন ফাস্ট করার উপায়

Share With

You may also like

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Most Popular Post

Have You Lost Data!

We have ability of recuperating your data from all kind of digital storage devices

Scroll to Top