আজকের আমাদের এই ব্লগ পোস্টে আমরা ডাটা সায়েন্সের সবচেয়ে বেসিক অধ্যায় ডাটা কি, সেটা নিয়ে জানবো। ডাটা সায়েন্স ডাটা রিকভারি নিয়ে আগ্রহী যে কেউ এই ব্লগ পোস্ট পড়ে বুঝতে পারবেন আসলে ডাটা জিনিসটা কি এবং সেটা কীভাবে কাজ করে। ডাটা কত প্রকার, এবং ডাটা প্রসেসিং সাইকেল কি ইত্যাদি।
ডাটা কি বা ডাটা বলতে কি বুঝায়?
সাধারন বাংলায় যদি আমরা ডাটা (DATA) শব্দের শাব্দিক অর্থ বের করতে চাই, তাহলে সেটা হবে ‘উপাত্ত’। একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ডাটা হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন ইনপুটের ভ্যালু বা দলীয় মান।
টেকনোলজিতে ডাটা বলতে আমরা সাধারন ভাবে ধরে নিই কোন ফাইল, যেমন সেটা অডিও, ভিডিও, টেক্সটস, কিংবা অন্য কোন প্রকার উপাত্তকে। সেটা ও ডাটা আবার আমরা যে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার যা কিছুই ব্যবহার করছি না কেন, সব কিছুই মুলত কিছু ডাটার সমন্বয়।
ডাটার যে বিভিন্ন টাইপ রয়েছে, সেই টাইপ গুলো মিলিত হয়েই আমরা ভিজুয়ালি নানা ধরনের আউটপুট দেখি। ডাটা যেভাবে মিলিত হয়, সেই প্রসেসটাকে বলা হয়, ডাটা প্রসেসিং চক্র বা Data Processing Cycle.
অনেকে ডাটা এবং ডাটাবেজ, দুটো নিয়ে কনফিউশনে পড়ে যান, আসলে দুটোর মধ্যে বেশ মিল রয়েছে বলেই মুলত এই কনফিউশনটার তৈরি হয়।
ডাটা হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু উপাত্ত আর ডাটাবেজ হচ্ছে অনেক অনেক ডাটার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া একটা তথ্যের ঘাটি। ডাটাবেজের ও আবার নানা প্রকার রয়েছে, আমরা অন্য কোন একটা পোস্টে ডাটাবেজ নিয়ে বিস্তারিত জানবো, এই পোস্টে আপাতত ডাটা নিয়েই আলোচনা হবে।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ডাটা কি আকারে থাকে? সেটার উত্তর হচ্ছে, ডাটা বর্ণমালা (A-Z), সংখ্যা ( 0-9 ) বিশেষ অক্ষর যেমন ( – , / , * , < , > , = , + ) ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করা হয়।
প্রোগ্রামিং কিংবা যেকোন প্রকার ওয়েব বা সফটওয়্যার ডেভেলপিং এ ডাটার ভুমিকা অসাধারণ।
ডাটা কত প্রকার ও কি কি?
ডাটা সাধারণত ৩ প্রকারঃ
১। নিউমেরিক ডাটা (Numeric Data)
২। বুলিয়ান ডাটা (Boolean Data)
৩। নন-নিউমেরিক ডাটা (Non-Numeric Data)
১। নিউমেরিক ডেটাঃ নিউমেরিক ডাটা হচ্ছে সেকল ডাটা যা শুধু মাত্র সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমনঃ 1, 400, 25, 500 ইত্যাদি। কোন প্রোগ্রাম লিখতে গিয়ে যখন আপনি কোন সংখ্যা ইনপুট করেন, তখন সেটা হয় নিউমেরিক ডাটা।
যেকোন প্রকার প্রোগ্রাম সাজাতে এই ডাটার গুরুত্ব খুবই বেশী। আমরা যদি মাইক্রোসফট এক্সেল কিংবা গুগল শীট কীভাবে কাজ করে সেটা চিন্তা করি তাহলে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবো ওখানে কি পরিমানের জটিল প্রোগ্রামের খেলা হয়েছে আর ওটার বেশীর ভাগই রয়েছে নিউমেরিক বা সংখ্যাগত ডাটা।
নিউমেরিক ডাটার আবার রয়েছে দুইটা টাইপঃ
কঃ এক্সাক্ট নিউমেরিক ডাটা (Exact Neumeric Data)
খঃ এপ্রোক্সিমেট নিউমেরিক ডাটা (Approximate Neumeric Data)
ডাটার ৩ প্রকার টাইপের মধ্যে এই নিউমেরিক ডাটা অন্যতম এবং বহুল ব্যবহৃত।
২। বুলিয়ান ডাটাঃ বুলিয়ান ডাটা টাইপকে অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় লজিক্যাল ডাটা টাইপ। কারণ এই ডাটা সাধারণত True কিংবা False এই দুইটা ফর্মে থাকে।
আমরা অনেকেই বাইনারি সংখ্যা সম্পর্কে জানি বা নাম শুনেছি। আমরা অনেকেই বুলিয়ানকে বাইনারি হিসেবে ভুল করি, দুটো ডাটা অলমোস্ট একই ভাবে কাজ করলে ও এদের মত কিছুটা পার্থক্য এখন ও বিদ্যমান রয়েছে।
৩। নন-নিউমেরিক ডাটাঃ নন-নিউমেরিক ডাটা হচ্ছে সেসব ডাটা যাদের আমরা চাইলে ও কোন সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করতে পারবো নাহ। আমরা যখন কোন জিনিসের পরিমান, সংখ্যা ইত্যাদি প্রকাশ করি তখন নিউমেরিক ডাটা ব্যবহার করি কিন্তু যখন কোন কিছুর কোয়ালিটি, দোষ, গুন কিংবা অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে হয়, তখন সেটা করা হয় শুধু মাত্র নন-নিউমেরিক ডাটা ব্যবহার করে করাই সম্ভব।
আমরা ব্যাপারটা অনেকটা কাউন্টেবল নাউন আর এডজেক্টিভের মত। কাউন্টেবল কিছু হলেই সেটা চলে যাবে নিউমেরিক ডাটায় আর এডজেক্টিভ সব কিছুই আসবে নন-নিউমেরিক ডাটা হিসেবে।
ডাটা কীভাবে প্রসেস হয়?
ডাটা সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে হলে ডাটা কীভাবে প্রসেস হয় সেটা ভালো ভাবে বুঝতে হবে আগে। ডাটা প্রসেসিং কম্পিউটার সায়েন্সের অনেক বড় একটা অংশ। ডাটা প্রসেসিং কীভাবে হয় বা সেটা কীভাবে কাজ করে সেটা বুঝার জন্য আমরা নিচের চিত্রটা ভালো করে খেয়াল করতে পারি।
ডাটা প্রসেসিং হচ্ছে ডাটার ম্যানিপুলেশন যা কম্পিউটারের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এটা Raw-Data কে মেশিন রিডেবল ডাটাতে রূপান্তর করে যেখানে একটিভ ভাবে অংশ গ্রহন করে সিপিইউ এবং কম্পিউটার মেমোরি।
এবং ফাইনালি ডাটা প্রসেসড হয়ে ভিজুয়ালি সেটা বিভিন্ন আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে আমাদের সামনে চলে আসে, রেজাল্ট আকারে।
এটা হচ্ছে ডাটা প্রসেসের সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ব্যাখ্যা। ডাটা প্রসেসিং আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে আমাদের ব্লগের সাথে থাকতে পারেন, আমরা এখানে এই টপিকে আরো বিস্তারিত কন্টেন্ট নিয়ে আসবো।
উপসংহার
ডাটা কি এবং ডাটা টাইপ কত প্রকার ও কি কি সেটা নিয়ে উপরোক্ত পোস্টে আলোচনা হয়েছে। ডাটা বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা আপনি আমাদের ব্লগের কিংবা ফেসবুক পেজের কমেন্ট বক্সে করতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি।
ডাটা সায়েন্স নিয়ে যারা স্টাডি করে, তাদের এই বেসিক বিষয় গুলো ভাবে জানা এবং ক্লিয়ার হওয়াটা খুবই জরুরি। আপনি আমাদের ব্লগের সাথে থেকে ডাটা, ডাটা সায়েন্স, ডাটা রিকভারি ইত্যাদি বিষয়ে খুব ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
Note:
Looking for data recovery services in Dhaka Bangladesh? Yes, you’re in the right place. Data Recovery Station has been providing world-class data recovery services in Bangladesh since 2006. Data Recovery Station is ISO 9001:2015 Certified company. We ensure the safest process for data recovery.
Know More: Data Recovery Price in Bangladesh
2 thoughts on “ডাটা কি, ডাটা বলতে কি বুঝায় ও প্রকারভেদ”
Audio,Video,Image
এগুলো কি ধরণের DataType
অনেক বুঝতে পারছি কিন্তু তারপরও সম্পূর্ণভাবে নই,এজন্য যে কঠিন এবং জটিল শব্দের অর্থ বুঝতে পারি না, ত ঠিক আছে যেটুকু বুঝতে পেরেছি ধন্যবাদ।